অবশেষে ষষ্ঠ ম্যাচে এসে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারল সাকিবের কেকেআর। আহমেদাবাদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা। এ জয়ের ফলে ছয় ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে তারা।
ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রানের বেশি করতে পারেনি পাঞ্জাব। জবাবে শুরুতে ৩ উইকেট হারালেও মাত্র ১৬.৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে কলকাতা। সবমিলিয়ে তারা খুইয়েছে ৫টি উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম তিন ওভারে যথাক্রমে সাজঘরে ফেরেন নিতিশ রানা (০), শুভমন গিল (৯) ও সুনিল নারিন (০)। দলের রান তখন মাত্র ১৭। বোলিংয়ে দুর্দান্ত শুরুর পর কলকাতাকে চেপে ধরার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে পাঞ্জাব।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে কলকাতার ইনিংস ফের কক্ষপথে আনেন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান ও তিন নম্বরে নামা রাহুল ত্রিপাঠি। দুজন মিলে মাত্র ৮ ওভারে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ৪১ রান করেন ত্রিপাঠি।
তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মরগ্যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়ের মার। এছাড়া আন্দ্রে রাসেল ১০ ও দিনেশ কার্তিক করেন ১২* রান।
এর আগে টস হেরে আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল পাঞ্জাবের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ৩৬ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। প্যাট কামিন্সের বলে জুটি ভাঙে। ১৯ রান করে আউট হন লোকেশ রাহুল।
৩১ করে সুনিল নারিনের বলে আউট হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ক্রিস গেইল শুধু মাঠে নামলেন। গোল্ডেন ডাক মারলেন শিভাম মাভির বলে। দিপক হুদা আউট হলেন কেবল ১ রানে।
নিকোলাস পুরান করেন ১৯ রান। মইসেস হেনরিক্স করেন ২ রান। শাহরুখ খান আউট হলেন ১৩ রান করে। শেষ মুহূর্তে হালকা ঝড় তোলেন ক্রিস জর্ডান। ১৮ বলে ৩০ রান করেন তিনি। তার এই ঝড়েই রান ১০০ পার হয়। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২৩ রানে থেমে যায় পাঞ্জাব কিংস।
কেকেআরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন প্রাসদি কৃষ্ণা। ২টি করে উইকেট নেন প্যাট কামিন্স এবং সুনিল নারিন। ১ উইকেট নেন শিভাম মাভি।