ইইউ’র নির্বাহী বিভাগ ইউরোপীয়ান কমিশন জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তিকে সম্মান না জানানো ছাড়াও সময়মতো টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে আস্থা রাখার মতো পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে না পারার কারণে তারা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে এই আইনানুগ ব্যবস্থার জবাবে আদালতে শক্তভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনে লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইইউ। উল্লেখ্য, টিকা নিয়ে ইইউ-অ্যাস্ট্রাজেনেকার মধ্যে দীর্ঘদিনের যে টানাপোড়েন চলছে, এর মধ্য দিয়ে তা আদালত পর্যন্ত গড়াতে যাচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ী টিকা না পাওয়ায় সদস্যদেশগুলোতে টিকাদান কর্মসূচির ধীরগতি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ইইউ। জোটের অনেকের দাবি, টিকার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে কোম্পানিটি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ডিসেম্বর থেকে আগামী জুনের মধ্যে ইইউকে ৩০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার চুক্তি করেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। চুক্তির শর্তমতে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ১৮ কোটি ডোজ দেওয়ার কথা। তবে কোম্পানিটি জোটকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির এক-তৃতীয়াংশ টিকা সরবরাহের কথা জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিশনার স্টেলা সোমবার টুইটারে বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হল ইইউ দেশগুলোর মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য যথাযথভাবে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ কারণেই সর্বসম্মতভাবে অ্যাস্ট্রেজেনেকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা।’
অ্যাস্ট্রাজেনেকাও আদালতে লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের কথা জানিয়ে সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে টিকা ক্রয়ের অগ্রিম চুক্তি পুরোটাই মেনেছে। তাই মামলার আইনি ভিত্তি নেই এবং বিরোধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিটিয়ে ফেলাই ভাল।
চলতি বছরের শুরুর দিকে আস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল, উত্পাদনগত সমস্যার কারণে তাদের সরবরাহ হ্রাস পাবে। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে তারা আট কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের যে পরিকল্পনা করেছিল এর মধ্যে কেবল প্রায় তিন কোটি ডোজ সরবরাহ হয়েছে।