করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশে। বেড়েছে মৃত্যু আর সংক্রমণের হারাও। সেই সঙ্গে নতুন আতঙ্ক যোগ হয়েছে ভাইরাসের ভারতীয় ধরণ। যা তিনগুণ শক্তিশালী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি যদি আঘাত হানে তাহলে সুনামী বয়ে যাবে বাংলাদেশে। সেই আতঙ্কে ইতোমধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে কি ভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি আটকানো যাবে? আপাতত এটিই প্রথম চ্যালেঞ্জ।
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতজুড়ে চলছে করোনা সুনামী। এটিকে যুদ্ধকালই বলছে বিশেষজ্ঞরা। বেচে থাকার যুদ্ধ, শ্বাসবায়ু চালু রাখার যুদ্ধ। হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের ঠাই নেই। ভারত এক ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন। পুরো ভারতজুড়ে অক্সিজেনের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। কোথাও অক্সিজেন না পেয়ে মৃত্যু হচ্ছে করোনা রোগীর। তাই অক্সিজেন সরবরাহকে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় আনছে দেশটি।
বাংলাদেশে যদি করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরণের প্রবেশ ঘটে, তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি কি? এমন পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সঙ্কটের বিষয়টি ভাবতে হবে সবার আগে। ইতোমধ্যে ভারত বাংলাদেশে অক্সিজেন রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে সঙ্কট বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিমুনাফা লাভের আশা মজুদ করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করতে পারে, আবার বিত্তবানরাও আগাম অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্রহ করে সে সঙ্কট বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া অক্সিজেন সরবরাহের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব বিষয়গুলো মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে এখনই।
ভারতের করোনা সুনামী পর্যবেক্ষনে দেখা যাচ্ছে, অক্সিজেনের সঙ্কট মোকাবিলাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
শরীফ নিজাম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, অর্থসংবাদ