আগামী ৫ মে সংগঠনটির সাধারণ সদস্যদের নেতা নির্বাচনের জন্য ভোট দিতে হবে না। ৭ মে বিকেল ৩টায় নির্বাচিত (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) পরিচালকরা ২০২১-২০২৩ মেয়াদের জন্য সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ছয় জন সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন। ৯ মে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
ডক্টর যশোদা জীবন দেবনাথ সিআইপি বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক, টেকনো মিডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে চার বার সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি। তিনি কমনওয়েলথ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেট এর পরিচালক ও ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের সহ-সভাপতি।
ড. যশোদা জীবন দেবনাথ সরকারি শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেডের পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি ২০০৬ সালে প্লাস্টিক কার্ড আইডি লিমিটেডের পরিচালক, ২০১১ সালে প্রটেক্টশন অন প্রাইভেট লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান, ২০১২ সালে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট, একই সালে ইমপুরুভমেন্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ-এর পরিচালক, ২০১৩ সালে মানিপ্লান্ট লিংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও, একই সালে টেকনোকনফিডেন্স সিকিউরিটিস লিমিটেড এর চেয়ারম্যান, ২০১৫ সালে ডেল্টা ফোর্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, একই সালে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর পরিচালক, ২০১৯ সালে এন আর বি গ্লোবাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক, ২০১৯ সালে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড এর পরিচালক, পে-ইউনিয়ন (বিডি) লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লেনদেন বিডি লিমিটেড এর চেয়ারম্যান, শ্যামপুর সুগার মিল লিঃ এর পরিচালক (স্বতন্ত্র), ব্যাংকিং লিজিং এবং সিক ইন্ডাস্ট্রি এর চেয়ারম্যান, ২০২০ সালে এনআরবি গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে এর পরিচালক হিসাবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন।
ব্যাংকিং সেক্টর ডিজিটাইজেশনে গুরুত্বপূর্ন অবদানের জন্য তাকে বাংলাদেশের আইডল হিসেবে বিবেচিত করা হয়। ড. যশোদা জীবন দেবনাথকে ফরিদপুরের মানুষ শুধু জেলার গর্ব হিসেবে নয় সারাদেশের গর্ব হিসেবে মনে করে থাকেন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র পরিচালক পদে ফরিদপুরের সন্তান ড. যশোদা জীবন দেবনাথকে মনোনিত করায় জেলাবাসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এফবিসিসিআই সূত্র গণমাধ্যমে জানিয়েছে, ২০২১- ২৩ মেয়াদের নির্বাচনে পরিচালক পদে মোট ৮৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। মোট পদের সংখ্যা ৮০টি। এর মধ্যে মনোনীত পরিচালক পদে চেম্বার গ্রুপে ১৭টি ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে ১৭টি পদে বিপরীতে ১৬ জন করে মোট ৩২ জন প্রার্থী হয়েছেন। দুটি মনোনীত পরিচালক পদে প্রার্থী দেয়নি গোপালগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও বায়রা।
অপরদিকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার জন্য চেম্বার গ্রুপের ২৩ পদের বিপরীতে ২৫ জন এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩ পদের বিপরীতে ২৫ জন প্রার্থী হয়েছেন।
প্রার্থী তালিকায় অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে একমাত্র সভাপতি প্রার্থী বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন ছাড়াও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে মনোনীত পরিচালক হয়েছেন এ কে এম সেলিম ওসমান, ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল, নজরুল ইসলাম মজুমদার, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, এস এম সফিউজ্জামান, মো. আমিন উল্লাহ, আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, এ কে এম মনিরুল হক, মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, আবু হোসাইন ভুইঁয়া রানা, খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ, মোহাম্মদ আলী খোকন, মুনির হোসেন ও আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল।
অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আবু মোতালেব, রব্বানী জব্বার, খন্দকার মনিউর রহমান জুয়েল, জামাল উদ্দিন, মুনতাকিম আশরাফ, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, রাশিদুল হাসান চৌধুরী রনি, এম জে আর নাসির মজুমদার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, এম এ মোমেন, হাবিব উল্লাহ ডন, শফিকুল ইসলাম ভরসা, আমিন হেলালী, হাফেজ হারুন, ড. ফেরদৌসী বেগম, আমজাদ হোসেন, নিজাম উদ্দিন রাজেশ, আসলাম সেরনিয়াবাত, ড. কাজী এরতেজা হাসান, শাহিন আহমেদ, শমী কায়সার, আবু নাসের এবং ড. নাদিয়া বিনতে আমিন।
অপরদিকে, চেম্বার গ্রুপ থেকে মনোনীত পরিচালক হয়েছেন যশোদা জীবন দেবনাথ, প্রীতি চক্রবর্তী, সেরনিয়াবাত ময়নউদ্দিন আব্দুল্লাহ, নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ, এ এম মাহবুব চৌধুরী, ড. মুনাল মাহবুব, আবুল কাশেম খান, নাজ ফারহানা, কাজী আমিনুল হক, সাইফুল ইসলাম, আমিনুল হক শামীম, মো. শামসুজ্জামান, মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, রেজাউল ইসলাম মিলন ও তাহমিন আহমেদ।
চেম্বার গ্রুপ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন হাসিনা নেওয়াজ, মাসুদুর রহমান মিলন, দিলিপ কুমার আগরওয়ালা, মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, রেজাউল করিম রেজনু, গাজী গোলাম আশরিয়া, গোলাম মোহাম্মদ, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, সুজিব রঞ্জন দাস, ইকবাল শাহারিয়ার, আলী হোসেন, শাহ জালাল, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, তবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু, মোহাম্মদ রিয়াদ আলী, খায়রুল হুদা চপল, খান আহমেদ শুভ, মুতাসিরুল ইসলাম, এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিক, এম এ রাজ্জাক খান, হুমায়ূন রশিদ খান পাঠান ও সালাউদ্দিন আলমগীর।