এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৬ জন। যাদের মধ্যে ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৭৬৪ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৮৮২। এ ছাড়া বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮৪ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১ লাখ ১৯ হাজার ৭১ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭৩ হাজার ১২৪ এবং নারী ৪৫ হাজার ৯৪৭ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৮ এবং নারী ১২ জন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৯০ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৪ লাখ ২৩ হাজার ৫০৩ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৭ হাজার ৯৬৮ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৭ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৮৫ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২২৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৮১ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৯০ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৮০ হাজার ৩৮২ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯২৯ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৪ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৫ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ১৬১ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৪ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৬৭ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।