বুধবার (২৮ এপ্রিল) ছয় লাখ পরিবারের জন্য ১৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ের জন্য সরকারি মঞ্জুরি জ্ঞাপন করা হয়েছে।
এর আগে, গত বছর করোনার দেশে প্রথম ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে প্রথম ধাপে অর্থসহায়তা প্রদান করা হয়েছিল। তবে ওই সময় যাচাই-বাছাই করে ৫০ লাখ পরিবারের তালিকা করা হয়েছিল।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন দরিদ্রদের জন্য নগদ সহায়তা দেয়ার জন্য চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের অধীন ‘মুজিব শতবর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান’ শীর্ষক কোডের আওতায় ‘বিশেষ অনুদান’ খাতে ৭৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এই বরাদ্দ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে জনপ্রতি দুই হাজার ৫১৫ টাকা হারে দ্বিতীয় ধাপে ছয় লাখ পরিবারকে ১৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ের জন্য আজ বুধবার সরকারি মঞ্জুরি জ্ঞাপন করা হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবারও পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান পাবেন। এ জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের তালিকা চূড়ান্ত করতে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত বছর করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়। তাদের তথ্য ডাটাবেজে সংরক্ষিত আছে। গত বছর যারা টাকা পেয়েছিলেন, তারাই এ বছরও টাকা পাবেন। আগামী ২ মে থেকে ৬ লাখ পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার ৫১৫ টাকা পাঠানো শুরু হবে। এর বাইরে নতুন করে শুধুমাত্র কৃষকদের জন্য ৫ হাজার টাকার অনুদানের যাচাই-বাছাইয়ের কাজটি করা হচ্ছে।