বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ‘ঋণ শ্রেণীকরণ’ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের কাছে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আমদানি ও রপ্তানিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান বিরূপ প্রভাবের ফলে অনেক ঋণগ্রহীতাই সময়মতো ঋণের অর্থ পরিশোধে সক্ষম হবেন না মর্মে ধারণা করা যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এবং দেশে সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসব বিবেচনায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত সময়ে উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে, কোনো ঋণের শ্রেণীমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনার ফলে, বর্তমানে কোনো ঋণগ্রহীতা যদি ৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে খেলাপি করতে পারবে না ব্যাংকগুলো। তবে যদি কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতা এই সময়ে ঋণ পরিশোধ করেন তাকে নিয়মিত ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবে।