বিবৃতিতে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের ‘কৌশলগত উপদেষ্টা প্যানেল’ (স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অব এক্সপার্ট— এসএজিই) মডার্নার করোনা টিকা বিষয়ক যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণ ও পরীক্ষা করেছে। সেখানে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবদেহে ৯৪ দশমিক ১০ ভাগ প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম মডার্নার করোনা টিকা।
ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। জনস্বাস্থ্য ও জীবানু বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মত, অত্যাধিক সংক্রমণ কবলিত দেশগুলো করোনার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউ পার করছে।
গত বছরের শেষ এব চলতি বছরের শুরু থেকে করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে অনেক দেশ। এই পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচওর মডার্নার টিকার অনুমোদন সেই গণটিকাদান কর্মসূচিতে নতুন গতি সঞ্চারে সক্ষম হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে নামমাত্র মূল্যে করোনা টিকা সরবরাহ করতে ২০২০ সালে ‘কোভ্যাক্স ইনিশিয়েটিভ’ নামে যে প্রকল্প শুরু করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও টিকা বিতরণকারী আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা গ্যাভি ভ্যাকসিন, মডার্নার টিকা এতে যুক্ত হলে সেই প্রকল্পটির কাজও ফের পুরোদমে শুরু হবে বলে আশা করছে ডব্লিউএইচও।
এই নিয়ে মোট ৫ টি করোনা টিকা জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মডার্নার আগে ডব্লিউএইচওর অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলো হলো— ফাইজার-বায়োএনটেক, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনা টিকা কোভিশিল্ড ও জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের করোনা টিকা।
যুক্তরাষ্টের খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক সরকারী নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) গত বছর ১৮ ডিসেম্বর জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারে মডার্নার করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছিল।
তারপর গত ৬ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শাখা সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) ইউরোপের দেশগুলোকে এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
ডব্লিউএইচওর অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়েছে মডার্না। শুক্রবার এক বিবৃতিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মধ্যে ৩০০ কোটি ডোজ করোনা টিকা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছে মডার্না। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্টের কারখানাগুলোতে প্রস্তুত করা হবে টিকার এই ডোজগুলো।
সূত্র: এএফপি