শুধু চাল কুমড়োই নয় এর কচি পাতা ও ডগা শাক হিসেবে খাওয়া যায়। চালকুমড়াতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ, শর্করা ও ফাইবার পাওয়া যাওয়ায় এটি শরীরের জন্য দারুন উপকারী। নিয়মিত চালকুমড়া খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. চালকুমড়াতে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকায় এটি পেট এবং অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ বা আলসার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি পাকস্থলিতে তৈরি হওয়া অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে।
২. চালকুমড়া মানসিক রোগীদের জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করে, কারণ এটি মস্তিষ্কের নার্ভ ঠান্ডা রাখে। এজন্য চাল কুমড়োকে ব্রেইন ফুড বলা হয়।
৩. প্রতিদিন চাল কুমড়ার রস খেলে যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ কেটে যায়। চাল কুমড়ো রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে।
৪. চাল কুমড়া শরীরের ওজন ও মেদ কমাতে অনেক উপকারী । এটি রক্তনালীতে রক্ত চলাচল সহজ করে। চাল কুমড়া অধিক ক্যালরি যুক্ত খাবারের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায়।
৫. মুখের ত্বক এবং চুলের যত্নেও চাল কুমড়ার রস অনেক সাহায্য করে। চাল কুমড়োর রস নিয়মিত চুল ও ত্বকে মাখলে চুল চকচকে হয় এবং ত্বক সুন্দর হয়। ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও চাল কুমড়া সাহায্য করে।
৬.চাল কুমড়োর বীজ গ্যাস্ট্রিক রোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা এবং প্রস্রাব কোনও কারণে অনিয়মিত হয়ে গেলে চাল কুমড়া খেলে উপকার পাওয়া যায়।