বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লিচুর দাম এবার বেজায় চড়া। প্রতি ১০০টি লিচুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া শরীরে একটু কালো দাগ পড়া লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা দরে। ফলে সাধ্যের বাইরে হওয়ায় আগাম লিচু কিনতে পারছে না নগরের সাধারণ মানুষ।
মহানগরীর সাহেববাজার, বিন্দুর মোড়, লক্ষ্মীপুর, স্টেশন ও শালবাগান বাজার ছাড়াও শিরোইল বাস টার্মিনালসংলগ্ন বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে বাহারি এ ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ঝুড়ির মধ্যে চটের ভেজা বস্তা। তার ওপর সবুজ পাতায় মোড়ানো লাল আভার লিচুগুলো এখন থোকায় থোকায় শোভা ছড়াচ্ছে। মৌসুমি ফল হিসেবে অনেকে বেশি দাম দিয়েই কিনছেন লিচু।
মহানগরীর সুলতানাবাদ এলাকার জামিল আহমেদ জানান, মেয়ের বায়নার কারণে রবিবার সকালে সাহেব বাজার গিয়ে দাম বেশি থাকায় ৫০টি লিচু কিনেই বাড়ি ফিরেছেন। তবে স্বাদ এবং গুণে এখনো লিচু পরিপক্ব হয়নি। কেবল বাড়তি মুনাফার আশায় ব্যবসায়ীরা গাছ থেকে লিচু ভাঙছেন। এগুলো দেশি জাতের লিচু। স্বাদেও টক-মিষ্টি। অনেকগুলো খুবই টক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এ বছর ৫৩০ হেক্টর জমিতে লিচুগাছ রয়েছে। প্রতি হেক্টরে সাত টন লিচু উৎপাদনের টার্গেট ধরা আছে। ইতিমধ্যে গাছে লিচু পাকতে শুরু করেছে। তবে এ বছর লিচু উৎপাদন কম হবে। এ জন্য বৈরী আবহাওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে।
মহানগরীর সাহেব বাজারের লিচু ব্যবসায়ী শামীম হোসেন জানান, বাজারে পুরোদমে লিচু আসা শুরু হয়নি। এ কারণে বর্তমানে লিচুর দাম বেশি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে লিচু বাজারে আসতে শুরু করবে। এছাড়া দিনাজপুরের লিচু ভরপুর হলেই দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দিন বলেন, কম সময় গাছে ও বাজারে থাকে বলে বিজ্ঞানীরা লিচুকে অতিথি ফল বলেন। গতবছর গাছে প্রচুর লিচু ধরেছিল। তাই এ বছর এমনিতেই লিচু কম ধরার কথা ছিল। এর ওপরে এবার ফুল থেকে গুটি আসা পর্যন্ত নানারকম বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পড়েছে লিচুগাছ। তাই ফলন হবে কম। সূত্র: ইত্তেফাক