মঙ্গলবার (০৪ মে) রাতে হাসপাতালের বাইরে এসে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে কিনা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সরকারকে এ বিষয়ে (চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে পাঠানো) আদালতে আসতে হতে পারে। কারণ সরকার এটি (জেল সাজা স্থগিত করেছে) ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ এর অধীনে করেছে। তবুও প্রাসঙ্গিক দলিল ও আইন না দেখে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।’
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘তার (খালেদা) জন্য কী চিকিত্সা প্রয়োজন এবং দেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সম্ভব কিনা তা সহ সব বিষয় বিবেচনা করেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নেবে।’
এর আগে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশবাসীর কাছে দোয়া চান। হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট শুরু হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনকে সোমবার (০৩ মে) দুপুরে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে শ্রমিক দল আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চেয়ারপারসনকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার জন্য সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ফোন করেছেন মির্জা ফখরুল, এমন গুঞ্জন ওঠে সোমবার রাতে। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে গুঞ্জনটি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার বিষয়ে কোনো আবেদন বা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তার শারীরিক অবস্থা ফোনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে জানানো হয়েছে।