কর্মসূচিতে যোগ দিতে ইতোমধ্যে দিল্লি থেকে কলকাতা এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় (কেন্দ্রীয়) সভাপতি জে পি নাড্ডা।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতার অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যজুড়ে যে সহিংসতা হয়েছে, তার প্রধান শিকার হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। এর প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
কর্মসূচিতে যোগ দিতে মঙ্গলবার দুপুরেই জে পি নাড্ডা কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়সহ অন্যান্য নেতারা।
বিমানবন্দর থেকে নাড্ডা সরাসরি চলে যান গোপালপুর ও প্রতাপনগরে। সেখানে হামলার শিকার বিজেপি কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের নাড্ডা বলেন, ‘এটাই তৃণমূলের গণতন্ত্র। সারা দেশের মানুষ এই হিংসা দেখছে। তবে বিজেপি এতে ভয় পায় না। এর শেষ দেখে ছাড়বে।’
তিনি আরও বলেন,‘বিরোধীদের উপর যেভাবে আক্রমণ চলছে, তা দেখেই বোঝা যায়, গণতন্ত্রকে কী চোখে দেখে তৃণমূল। সমস্ত রাজনৈতিক হত্যার বিচার হবে। গণতান্ত্রিক উপায়েই এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।’
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নিজেদের দখলে আনতে গত ফেব্রুয়ারি থেকেই বেশ হাঁকডাক দিয়ে মাঠে নেমেছিল বিজেপি। নির্বাচনে বিজেপির জয় নিশ্চিত করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ২ মাসে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন ১৭ বার। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে টানা আসা-যাওয়র মধ্যে ছিলেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতারা।
তাদের এই ঘন ঘন আসা যাওয়া, সভা-সমাবেশ ও কর্মসূচিতে টান টান উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে। ভাগ্য পরিবর্তন ও প্রার্থীতা লাভের আশায় তৃণমূল-সিপিএম থেকে অনেকে যোগও দিয়েছিলেন বিজেপিতে।
তবে ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে, নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভার ২৯৪ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছে ২১৩ টি আসনে, বিজেপি জয়ী হয়েছে ৭৭ টিতে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, বুধবারও কলকাতায় থাকবেন নাড্ডা। সেদিন রাজ্য বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে দলের শোচনীয় ফলাফল নিয়ে আলোচনা করবেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি।