বুধবার (৫ মে) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটকে দেয়া আগাম টাকা দেয়া হয়েছিল, ‘তারা ভ্যাকসিন দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেবে কি-না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন আসবে না সেটাও তো আমরা জানি না। আমরা তাদের সাথে কথাবার্তা বলছি। আমরা যখন চূড়ান্তভাবে জানতে পারব যে ভ্যাকসিন আসবে না, তখন চূড়ান্তভাবে এটি নিয়ে কথা বলতে পারব।’
কীভাবে টাকা ফেরত পাওয়ার যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন না এলে অবশ্যই টাকা ফেরত পাব। এভাবে কোনো দেশ কোনো দেশের টাকা মেরে দেয় নাকি? আমরা লিগ্যাল ডকুমেন্টের মাধ্যমে চুক্তি করেছি। এটা তো গোপন কোনো কাজ নয়। কাগজপত্রে লেখালেখি হয়েছে, ডকুমেন্টেশন হয়েছে। সুতরাং কন্ট্রাক্টচুয়্যাল ডিভিশন তাদেরও আছে আমাদেরও আছে। আমরা চেষ্টা করছি ভ্যাকসিন আনার জন্য। আমরা অন্যান্য সোর্সেও চেষ্টা করছি ভ্যাকসিনের জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি আমরা একটা সোর্সের ওপর ডিপেন্ড করব না। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, দেশের মানুষের জীবন-মরণ নিয়ে প্রশ্ন। সুতরাং এখানে আমরা শুধু একটি সোর্সের উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলে হবে না। তাই এর পাশাপাশি আরো বিভিন্ন সোর্স থেকে যারা ভ্যাকসিন তৈরি করে এবং যারা গ্রহণযোগ্য, যাদের ভ্যাকসিনে কোন আশঙ্কা নেই সেসকল কোম্পানি থেকেও আমরা ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য চেষ্টা করছি।’
সেরামের সঙ্গে চুক্তিতে ক্ষতিপূরণের সুযোগ রাখা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এটা এই মুহূর্তে বলতে পারব না। আন্তর্জাতিক চুক্তিতে যেসকল শর্ত থাকে সকল শর্তই এই চুক্তিতে আছে। আমরা এখনই একদম ঘোষণায় চলে যেতে চাই না যে তাদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছিলাম সেই ভ্যাকসিন আসবে না, এমনটি আমরা বলিনি। তারাও এখনও বলেনি যে তারা দেবে না।’
রাশিয়া ও চীন থেকে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে সেরামের কাছ থেকে কবে নাগাদ টাকা ফেরত চাওয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে আলাপ করুন। তিনি প্রতিনিয়ত এটি নিয়ে কাজ করেন, তিনি আপনাদের ভালোভাবে বলতে পারবেন।’