প্রতিটি ফলে থাকে ৮-১০টি বীজ। সাধারণত কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকলেও পেকে গিয়ে এর ত্বক উজ্জ্বল লাল হয়ে যায়। আর ভেতরের সাদা শেলটিতে বেশি পাকা অবস্থাতে প্রায়শই লালচে দাগ পড়ে। বীজগুলো শিমের বীজের মতো দেখতে এবং বীজের রং খুব কালো। ফলটির খোসা ঘন, নরম, মিষ্টি এবং শক্ত। জিলাপি ফলগাছ অসংখ্য ডালপালাযুক্ত।
দীর্ঘ, এলোমেলো এবং ছাল ধূসর এবং কাঁটাযুক্ত হয়ে থাকে। পাতা সবুজ এবং পাতাগুলো জোড়া লাগানো। ফুল আকারে বেশ ছোট। সাধারণত ফুলগুলো ফাল্গুনে ফোটে এবং চৈত্র ও বৈশাখ মাসে ফল পাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। জিলাপি ফলগাছ পেতে এ ফলের বীজ রোপণ করা হয়।
তবে শাখা-প্রশাখাও নতুন গাছ তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ফিলিপাইনে এই গাছটি মূলত ফলের জন্য রোপণ করা হয়। আমাদের দেশে প্রাকৃতিকভাবেই গাছটি ফলে। যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলায় জিলাপি ফলগাছ দেখতে পাওয়া যায়।