দেশটিতে গত বছর প্রায় ৩৬ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। আগের বছরের তুলনায় শিশু জন্মের হার ৪ শতাংশ কম। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন (সিডিসি) এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথের এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্বজুড়েই জন্মহার কমার হার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, চলমান করোনা মহামারির কারণেই এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
জনতত্ত্ববিদরা দেশের সাধারণ উর্বরতার হার পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, সাধারণ ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সীরা সন্তান ধারণে সক্ষম। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ জন্মহারের ক্ষেত্রে দেখা গেছে প্রতি এক হাজার নারীর মধ্যে প্রায় ৫৬ জন সন্তান ধারণে সক্ষম। এখন পর্যন্ত এই হার সর্বনিম্ন এবং ১৯৬০ সালের গোড়ার দিকের কথা হিসেব করলে এই সংখ্যা সে সময়ের প্রায় অর্ধেক।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্বেতাংঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ এবং লাতিন নারীদের মধ্যে জন্মহার ৪ শতাংশ কমেছে, এশিয়ান নারীদের ক্ষেত্রে এই হার কমেছে ৯ শতাংশ, হাওয়াইয়ান এবং অন্যান্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের নারীদের ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ এবং ন্যাটিভ আমেরিকান এবং আলাস্কার ন্যাটিভ নারীদের ক্ষেত্রে এই হার কমেছে ৭ শতাংশ।
পুরো যুক্তরাষ্ট্রের সন্তান ধারণক্ষম নারীদের ওপর বিশ্লেষণ করেই ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটির শিশু জন্মের হার আমেরিকান মায়েদের গড় বয়সের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
নারীরা পড়াশুনা, কর্মক্ষেত্রে বেশি সময় দিতে গিয়ে দেরিতে বিয়ে করছেন। ফলে বেশি বয়সে সন্তান নিতে গিয়ে তাদের নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্তান ধারণ ক্ষমতাও কমতে থাকে।
সিডিসির এক গবেষণা বলছে, ২০১০ সালে যেখানে সাধারণ নারীদের ২৩ বছর বয়সে প্রথম সন্তান নিতে দেখা গেছে সেখানে এখন নারীরা প্রথম সন্তান নেন ২৭ বছর বয়সে। তবে কিশোরী বয়সে সন্তান নেয়ার ঘটনা আগের চেয়ে ৮ শতাংশ কমেছে, যা বেশ ইতিবাচক।