এক বিবৃতিতে কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কানিগাম এলাকায় বুধবার রাতেই অভিযান শুরু করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেন তারা। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। এ সময় পুলিশ ও সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে গ্রেনেডও ছোড়ে তারা।
জঙ্গিরা গুলি শুরু করলে পাল্টা গুলি শুরু করেন পুলিশ ও সেনাসদস্যরা। বুধবার রাতভর চলে এই সংঘাত। বৃহস্পতিবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তিন জঙ্গিকে নিহত এবং একজনকে জীবিত অবস্থায় দেখতে পান। জীবিত ওই জঙ্গি সদস্য আত্মসমর্পণ করেন।
পৃথক এক বিবৃতিতে ভারতের সেনা বাহিনী জানিয়েছে, জঙ্গিরা সবাই স্থানীয় আল-বদর জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য। তারা নতুন যোগ দিয়েছিল দলে। প্রথমে সেনা অনেক চেষ্টা করে যাতে তারা সবাই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ১ জন ছাড়া বাকিরা গুলি চালাতে শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও গুলি চালাতে শুরু করলে সংঘাত শুরু হয়।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হয়। আত্মসমর্পণকারী জঙ্গির নাম তৌসিফ আহমেদ। নিহতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ওই এলাকায় আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।