বৃহস্পতিবার (৬ মে) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সার্কুলারটি সব ধরনের তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘দেশে কার্যরত কুরিয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও অনলাইন ক্রয়-বিক্রয় প্লাটফর্মের বিক্রয় করা পণ্য ক্যাশ অন ডেলিভারি ব্যবস্থায় ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। তার বিপরীতে পণ্যমূল্য সংগ্রহপূর্বক তা বিক্রেতাকে দিয়েছে। পাশাপাশি এক ব্যবসায়ী থেকে অন্য ব্যবসায়ীর কাছে মূল্য ঘোষিত পার্সেল বিতরণ ও কন্ডিশন বুকিং ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। যা থেকে উদ্ভূত লেনদেনের নগদ অর্থ কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়ে আসছে। অর্থাৎ কুরিয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মাশুলের বিনিময়ে ক্রেতাকে পণ্য বিতরণপূর্বক আদায়কৃত পণ্যমূল্য বিক্রেতার কাছে পৌঁছানোর যে কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত, তা ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালনার লক্ষ্যে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। ‘কুরিয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মূল্য ঘোষিত পণ্য/পার্সেল বিতরণ থেকে উদ্ভূত নগদ অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন পদ্ধতি’ শীর্ষক গাইডলাইন অনুসরণপূর্বক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের লেনদেনের জন্য ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সার্কুলার অনুযায়ী হিসাব খোলার মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে কার্যরত কুরিয়ার সার্ভিস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এতদ্ব্যতীত অন্য কোনোরূপ আর্থিক সেবা দিতে পারবে না এবং এরূপ ক্ষেত্রে কোনোরূপ ব্যাংকিং সেবা প্রাপ্য হবে না। বর্ণিত লেনদেন পদ্ধতি মোতাবেক কুরিয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার জন্য দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।’