বৃহস্পতিবার (৬ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সভা কক্ষে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ এবং ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বর্তমানের চেয়ে সমৃদ্ধ কাজ করতে পারলে আমরা এ উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব। আর এর সুফল দেশের জনগণ পাবে।
তিনি বলেন, পৃথিবী এখন বিশ্বগ্রামে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আমাদের সঙ্গে রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে এফএও'র বিশেষজ্ঞদের মতামত, পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও যোগ্যতা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রকল্পের শুরুতে আমদের যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল সেটা অর্জনে কোনভাবই ব্যর্থ হওয়া চলবে না। প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া মসৃণ, কার্যকর ও লক্ষ অর্জনে সহযোগী হতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের শিক্ষাগত ও কারিগরী সক্ষমতাসম্পন্ন এবং অভিজ্ঞ জনবল রয়েছে। প্রকল্পে কী লক্ষ্য ছিল, এ পর্যন্ত কী অর্জন হয়েছে আর কীভাবে লক্ষ্য পরিপূর্ণ করা সম্ভব হবে-এ তিনটি বিষয়ে সচেতন ও যত্নবান হলে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের যুগান্তকারী উন্নয়ন সম্ভব হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মো. ইমদাদুল হক ও মো. তৌফিকুল আরিফ।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ প্রাণিসসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রাক্তন মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, ডা. আইনুল হক, ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, বাংলাদেশ প্রাণিসসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম, উপ প্রকল্প পরিচালক, এফএও'র প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।