শুক্রবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মোট ১৩ হাজার ৯৭৯ জনের মৃত্যু হয়। আর করোনা শনাক্ত হয় ৮ লাখ ৫৮ হাজার ১৪৮ জন।
সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে মোট ১৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬২৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩২ লাখ ৬৯ হাজার ২৩১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১৩ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার ৪৭ জন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এখনও সবার উপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বর্তমানে নিম্নমুখী। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৯২ জন। আর মারা গেছেন ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬ জন।
অন্যদিকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে গত কয়েকদিন ধরেই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটিতে প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৮৫ জন। আর মারা গেছেন মোট ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭১ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকার পরবর্তী স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে ব্রাজিল, ফ্রান্স, তুরস্ক রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেন এবং জার্মানি।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখনও ৩৩তম। দেশে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৬০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১১ হাজার ৭৯৬ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি।
ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনা মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলো অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। সেখানে সংক্রমণ আগের চেয়ে কমে এসেছে। এর বিপরীতে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।