বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড এভাল্যুয়েশন (আইএইচএমই)-এর বিশ্লেষণে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
সরকারি তথ্যের ভিত্তিতেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির নিয়মিত আপডেট দিয়ে আসছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২ লাখ, ৫৬ হাজার ৬৭৫ জন। আরেক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩২ লাখ, ৭০ হাজার ৪৭৮ জন। এই সংখ্যা আইএইচএমই-এর দেওয়া মৃত্যুর হিসেবের অর্ধেকেরও কম।
বিশ্বের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার তুলনামূলক হিসাব তুলে ধরা একটি স্বাধীন স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা আইএইচএমই। অতীতে হোয়াইট হাউসও সংস্থাটির দেয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়েছে। এর প্রতিবেদনগুলো জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। আইএইচএমই’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ দেশ শুধু হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীদের গণনা করায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন থেকে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই বিশ্লেষণে শুধু সরাসরি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হিসাব করা হয়েছে। মহামারির কারণে সৃষ্ট চিকিৎসা সংকটে যেসব মৃত্যু হয়েছে, তা হিসেবে ধরা হয়নি।
আইএইচএমই’র মতে, কোনও দেশে করোনায় মৃত্যুর হারের সঙ্গে সেখানে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সংস্থাটির পরিচালক ক্রিস্টোফার মুরে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আপনি যদি পরীক্ষা খুব বেশি না করেন, তাহলে করোনায় অনেক মৃত্যু এড়িয়ে যাবেন।
মহামারিপূর্ব সময়ে সব ধরনের কারণে মৃত্যুর প্রবণতার সঙ্গে মহামারির সময়ে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যার তুলনামূলক হিসাব করে করোনায় মৃত্যুর সম্ভাব্য প্রকৃত সংখ্যা বের করেছে আইএইচএমই। তাদের হিসাব বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় অন্তত ৯ লাখ ৫ হাজার মানুষ মারা গেছেন। অথচ দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) হিসাবে বলা হচ্ছে, সেখানে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯১ জন।
আইএইচএমই’র এই প্রতিবেদনের বিষয়ে এখনো কোনও মন্তব্য করেনি সিডিসি।