শুক্রবার (৭ মে) বিকেলে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আশা করি আগামী বছর জুনের মধ্যেই পদ্মাসেতুর কাজ সমাপ্ত হবে এবং যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৭ মে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষের কাছে একটি স্মরণীয় দিন। ২০০৭ সালের এদিনে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষিত জরুরি অবস্থা চলাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। কোনো অন্যায় করেনি বলে বুকে ছিলো তার অসীম সাহস ৷ এদেশের মাটি ও মানুষই শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল শক্তি। তাইতো কোনো ষড়যন্ত্রই দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে সেদিন ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি।
এছাড়াও তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে শত বাঁধা পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে এসেছিলেন বলেই সেদিন জনগণের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন দিয়ে সরে যেতে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে ৷ দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর শেখ হাসিনা শুরু করেন সংকটের আবর্তে নিমজ্জমান অবস্থা থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করে একটি সুখী সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্র গড়ে তোলার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে করেন পাপমুক্ত ৷ শেখ হাসিনার হাত ধরেই এসেছে সমুদ্র বিজয়, দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান তার অসামান্য কূটনৈতিক দক্ষতারই পরিচায়ক৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দিনবদলের অভিযাত্রায় উন্নয়নের মহাসড়কে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।