দুই দিন চেষ্টার পর মঙ্গলবার দুপুরে একপশলা বৃষ্টিতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। সন্ধ্যায় আগুন সম্পূর্ণ নেভানোর দাবি করে কর্তৃপক্ষ। তবে বুধবার সকালে প্রথমবার আগুন লাগা স্থানের কিছুটা দক্ষিণে আবারও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। থেমে থেমে জ্বলে আগুনও। বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও সিপিজির সদস্যরা বুধ ও বৃহস্পতিবার দিনভর চেষ্টার পর ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বন বিভাগ গণমাধ্যমে বলছে, শুক্রবার নতুন করে কোথাও আগুন দেখা না যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে আর ডাকা হয়নি। তবে ওই এলাকায় পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছেন তারা। বনের ভেতর কোথাও সুপ্ত আগুন দেখা গেলে তা নেভাতে সেখানে পানি জমা করে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে প্রয়োজনে পানি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।
ফায়ার সার্ভিসের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আবদুস সত্তার ও সঞ্জয় দেবনাথ গণমাধ্যমে বলেন, ‘শুক্রবার নতুন করে আর আগুন লাগেনি। বন বিভাগ না ডাকায় আমরা আজ আর যাইনি। বৃহস্পতিবার বনের মধ্যে আগুন লাগার এলাকার কাছে আমরা একটি পানির রিজার্ভ রেখে এসেছিলাম। প্রয়োজন হলে বন বিভাগ সেখানে থেকে নিয়ে পানি ছিটাবে। বনে শুকনা পাতার পুরু স্তর। এখন একটা ভালো বৃষ্টি হলে আগুন নতুন করে ছড়ানোর আর কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।’
শুক্রবার (৭ মে) থেকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। সোমবার আগুন লাগার পর ওই দিন বিকেলেই শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বন বিভাগ। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. ফরিদুল ইসলাম ও শরণখোলার এসও আবদুল মান্নান। সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে (ডিএফও) কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।