ভারতের জাতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ মে ভোর ৬ টা থেকে তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে শুরু হবে লকডাউন, চলবে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের শপথ গ্রহণের দিনই সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড করেছে রাজ্যটি। ওইদিন সেখানে করোনায় আক্রান্ত হন ২৬ হাজার ৪৬৫ জন, মারা যান ১৯৭ জন। এর মধ্যে রাজধানী চেন্নাইয়ে আক্রান্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি, ৬ হাজার ৭৭৮ জন।
গত বছর মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৯৬৫ জন, মারা গেছেন মোট ১৫ হাজার ১৭১ জন।
এদিকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অপর রাজ্য কর্নাটকে শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের কোঠা ছুঁয়ে যাওয়ায় একরকম বাধ্য হয়ে লকডাউনের নির্দেশ জারি করেছে মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদিউরাপ্পার নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। শুক্রবার কর্নাটকে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন ৪৮ হাজার ৭৮১ জন এবং মারা গেছেন ৫৯২ জন।
রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণের দিক থেকে সবথেকে ভয়াবহ অবস্থায় আছে রাজধানী বেঙ্গালুরু। শুক্রবার কর্নাটকে নতুন আক্রান্ত করোনা রোগীদের প্রায় অর্ধেকই বেঙ্গালুরুর— ২১ হাজার ৩৭৬ জন। এছাড়া এ রোগে ওইদিন শুধু বেঙ্গালুরুতেই মারা গেছেন ৩৪২ জন।
গত মার্চ থেকে ভারতে শুরু হয়েছে করেনার দ্বিতীয় ঢেউ। চলমান এই ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ পরিস্থিতিতে হু হু করে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ লাখ ২৯ হাজার ৫১৭ জন এবং মারা গেছেন ২৬ হাজার ৪৩০ জন।
ভারতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরলায়। তখন থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ কোটি ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৬১১ জন, আর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ২৬৫ জন।
সূত্র: এনডিটিভি