এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো যখন দুই দিন আগে দেশটির শিয়া অধ্যুষিত অঞ্চলে একটি গার্লস স্কুলের কাছে বোমা হামলায় প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন স্কুলছাত্রী। যদিও এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে তালেবান।
সোমবার এক বিবৃতিতে তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইসলামিক আমিরাতের মুজাহিদিনদের ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন থেকে তৃতীয় দিন পর্যন্ত শত্রুর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সকল আক্রমণাত্মক কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলো।’
এতে আরও বলা হয়, ‘তবে এই দিনগুলোর মধ্যে শত্রুরা যদি আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো হামলা চালায়, শক্তভাবে তা প্রতিহত করতে এবং নিজেদের ও নিজের এলাকা রক্ষা করতে প্রস্তুত থাকুন।’
এদিকে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আড়াই হাজার বাহিনী প্রত্যাহার অব্যাহত রেখেছে। নাইন-ইলেভেন হামলার পর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনী দেশটিতে অবস্থান করছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছিল, তবে তা খুব একটা আলোর মুখ দেখেনি।
রমজানে এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিমরা ঈদুল ফিতর উৎসব উদযাপন করেন। গত বছরও তালেবান মুসলিমদের উৎসব উপলক্ষে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল।
আফগান সরকারও সাধারণত যুদ্ধবিরতিতে সায় দিয়ে থাকে। প্রধান আলোচক আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ’র মুখপাত্র ফ্রেইদন খাজন সোমবার সকালে বলেছেন, ‘আমরা এই ঘোষণাকে স্বাগত জানাই... ইসলামিক প্রজাতন্ত্রও প্রস্তুত রয়েছে এবং শিগগিরই এটি ঘোষণা করবে।’
এদিকে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তালেবানের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার কয়েক ঘণ্টা আগেই জাবুল প্রদেশে একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণে ১১ জন নিহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান বলেছেন, এই হামলায় অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন।