স্থানীয় সময় সোমবার (১০ মে) সন্ধ্যায় কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক বিশেষ বৈঠকে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। একইসঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
লকডাউনের পাশাপাশি আন্তঃজেলা ও আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী। বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেন, মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় সংক্রমণ রোধে শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক্রমে আগামী ১২ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) বহাল থাকবে। পাশাপাশি ইতোমধ্যে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন বিধিনিষেধগুলো ও আগের মতো বহাল থাকবে।
এর আগে গত ৭ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে আবারও দেশব্যাপী এই লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
তবে এই লকডাউন চলাকালে সব চাইল্ড কেয়ার, প্রি-স্কুল, নার্সারি এবং কিন্ডারগার্টেনগুলোকে অভিভাবকদের কাজ সহজ করার জন্য নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) অনুযায়ী পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) চলাকালীন সময়ে নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারীদের অফিসের পরিবর্তে বাড়িতে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং কর্মক্ষেত্রে ৩০ শতাংশের কম স্টাফ নিয়ে অফিস পরিচলনা করতে হবে।
এছাড়া একটি প্রাইভেটকারে ড্রাইভারসহ তিনজনের অধিক বসার উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার আশা করছে যে, জনগণ তাদের নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ করবে এবং নির্ধারিত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
দেশটিতে সোমবার (১০ মে) দুপুর পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮৪ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ হাজার ৭০০ জন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪ লাখ ৫ হাজার ৩৮৮ জন।