সরাসরি তিনি বলে দিয়েছেন, জুভেন্টাস যদি প্রস্তাবিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে না নেয়, তাহলে তাদেরকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে।
যে ১২টি ক্লাব নিয়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ যাত্রা করার কথা ছিল, জুভেন্টাস তার মধ্যে একটি। এমনকি ৯টি দল নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার পর বাকি যে তিনটি ক্লাব রয়েছে, তাদের মধ্যেও জুভেন্টাস অন্যতম।
ইউরোপিয়ান সুপার লিগের ঘোষণা আসার পরপরই চাপের মুখে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় ইংল্যান্ডের ৬টি ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল, লিভারপুল, চেলসি এবং টটেনহ্যাম হটস্পার। এই ৬ দলের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পরদিন একই পথে হেঁটেছে স্পেনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ইতালির এসি মিলান এবং ইন্টারমিলান।
জুভেন্টাসের সঙ্গে এখনও ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনের দৃঢ়তা নিয়ে টিকে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা। যদিও এরই মধ্যে উয়েফা ঘোষণা দিয়েছে, এই তিন ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে অন্তত দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হবে।
এর জবাবে অবশ্য রিয়াল-বার্সা-জুভেন্টাস একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে একদিন আগে। একদিন পর এবার খোদ নিজ দেশের এফএ’র প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে হুমকি শুনতে হলো জুভেন্টাসকে।
রেডিও কিস কিস ন্যাপোলিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইতালিয়ান এফএ প্রেসিডেন্ট গ্রাভিনা বলেন, ‘আইন এখানে একবারে পরিষ্কার। আগামী মৌসুমের রেজিস্ট্রেশন শুরুর পর যদি দেখি যে তখনও জুভেন্টাস ইউরোপিয়ান সুপার লিগের অংশ, তাহলে পরের মৌসুমের জন্য সিরি-আ’তে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা সব সমর্থকের জন্যই হবে খুবই লজ্জাজনক একেটি বিষয়। কিন্তু এখানে তো নিয়ম-নীতি আছে এবং সেসবই সবার জন্য সমান।’