কাশ্মীরি পণ্ডিতের সৎকার করলো মুসলিমরা

কাশ্মীরি পণ্ডিতের সৎকার করলো মুসলিমরা
তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। সবাই থাকেন জম্মুতে। তাদের বাবা পণ্ডিত মাখনলাল থাকতেন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার তহাব এলাকায়। শুক্রবার গভীর রাতে যখন তিনি মারা যান, পরিবারের কেউ কাছে ছিল না। কিন্তু স্বজনের অভাব হয়নি।

পণ্ডিত মাখনলালের মৃত্যু ও তার সন্তানদের কারো সেখানে না থাকার খবর পেয়ে গত শনিবার প্রতিবেশী মুসলিমরাই এগিয়ে আসেন তার সৎকারে। বয়ে আনেন কাঠ। সাজানো হয় চিতা। সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন ভিনধর্মী এক ধর্মীয় গুরুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।

এ নিয়ে প্রতিবেশীরা বলছেন, এটা তাদের কর্তব্যই ছিল। ধর্ম যাই হোক না কেন, প্রতিবেশীর যত্ন নিতে শেখায় ইসলাম। তারা নিজেদের সেই ধর্ম পালন করেছেন।

১৯৯০ দশকের অশান্ত কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়েছিলেন প্রাণে বাঁচাতে। কিন্তু মাখনলালের বিশ্বাস ছিল প্রতিবেশীদের ওপরে। তাই তিনি কখনোই উপত্যকা ছেড়ে কোথাও যাননি।

তার মামা রমেশ মালও রয়েছেন কাশ্মীরে। পুলওয়ামার প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা তিনি। সাবেক বিএসএনএল কর্মী মাখনলাল ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত নিশ্চিন্তে কাটিয়েছেন কাশ্মীর উপত্যকায়। জীবনের অন্তিমক্ষণে তিনি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা পেয়েছেন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির শঙ্কা
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায় ইসরায়েল
গাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন ট্রাম্প, যুদ্ধবিরতিতে ২০ প্রস্তাব
যুক্তরাষ্ট্রে এবার ওষুধ রপ্তানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
থালাপতি বিজয়ের জনসভায় পদদলিত হয়ে নিহত ৩৯
পাকিস্তানে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বড় নিষেধাজ্ঞা
ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেব না: ট্রাম্প
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ভেনেজুয়েলা
৭৬% মার্কিনি মনে করেন, ট্রাম্প নোবেল পাওয়ার যোগ্য না