পণ্ডিত মাখনলালের মৃত্যু ও তার সন্তানদের কারো সেখানে না থাকার খবর পেয়ে গত শনিবার প্রতিবেশী মুসলিমরাই এগিয়ে আসেন তার সৎকারে। বয়ে আনেন কাঠ। সাজানো হয় চিতা। সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন ভিনধর্মী এক ধর্মীয় গুরুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।
এ নিয়ে প্রতিবেশীরা বলছেন, এটা তাদের কর্তব্যই ছিল। ধর্ম যাই হোক না কেন, প্রতিবেশীর যত্ন নিতে শেখায় ইসলাম। তারা নিজেদের সেই ধর্ম পালন করেছেন।
১৯৯০ দশকের অশান্ত কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়েছিলেন প্রাণে বাঁচাতে। কিন্তু মাখনলালের বিশ্বাস ছিল প্রতিবেশীদের ওপরে। তাই তিনি কখনোই উপত্যকা ছেড়ে কোথাও যাননি।
তার মামা রমেশ মালও রয়েছেন কাশ্মীরে। পুলওয়ামার প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা তিনি। সাবেক বিএসএনএল কর্মী মাখনলাল ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত নিশ্চিন্তে কাটিয়েছেন কাশ্মীর উপত্যকায়। জীবনের অন্তিমক্ষণে তিনি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা পেয়েছেন।