মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে তারা বিদেশ নিয়ে যেতে চান, এর আইনি কোনো সুযোগ নাই। আর তাদের বিদেশে নেয়ার উদ্দেশ্য ভিন্ন। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেয়া নয়, বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনীতি এবং বিদেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানাভাবে এখন যে ষড়যন্ত্র ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড করা হয়, সেগুলোকে আরও তৎপর করা।’
খালেদা জিয়ার সঠিক জন্মদিন কোনটা, সেটা জনগণ জানতে চায় উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমিও দেখেছি, করোনা টেস্টের রিপোর্টে বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ৮ মে, ১৯৪৬ সাল। এই গোমর যখন ফাঁস হয়ে গেছে, আজকে না-কি ফখরুল সাহেব সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন, নিশ্চয় বলেছেন, এটি সঠিক নয়।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই ধরনের ভাঁওতাবাজির রাজনীতি, মিথ্যার রাজনীতি, জনগণকে ধোকা দেয়ার রাজনীতি পরিহার করুন। টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে সরকারের সমালোচনা করলেই রাজনৈতিক দল হওয়া যায় না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। বিএনপি এবং খালেদা জিয়াই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। সেজন্য তারা ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, ১৯৯৬ সালে পাতানো নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে বিরোধীদলীয় নেতা বানানো হয়েছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার তারা বন্ধ করেছিল।’
শেখ হাসিনা সমস্ত কিছু ভুলে, আদালতে জামিন না পাওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়াকে কারাগারের বাইরে রেখেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। আমাদের নেত্রী যে সহমর্মিতা, যে সহানুভূতি প্রদর্শন করেছেন, তা থেকে বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার অনেক কিছু শেখার আছে।’
বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর লস্করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি এবং মৎস্যজীবী লীগ নেতৃবৃন্দ।