বাজেট ঘোষণার দিন এবার অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যও হবে আগের বারের মতো ছোট। তাঁর বাজেট বক্তব্যের প্রতিপাদ্য হওয়ার কথা রয়েছে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’। শেষ মুহূর্তে এর কিছুটা বদলও হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্র গণমাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি সংসদ সচিবালয়ে চিঠি পাঠিয়ে বাজেট ঘোষণার দিনক্ষণ জানিয়েছে অর্থ বিভাগ। এতে বলা হয়, আগামী ২ জুন সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। তার পরদিন ৩ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় অর্থমন্ত্রী নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন।
আগামী অর্থবছরের বাজেটটি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের তৃতীয় বাজেট। এ বাজেটের আকার হবে ৬ লাখ কোটি টাকার সামান্য বেশি।
সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশন আগামী ২ জুন শুরু হবে বলে আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতেও জানিয়েছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২ জুন বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশন আহ্বান করেছেন। তিনি এ আহ্বান করেছেন সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের(১) দফায় দেওয়া ক্ষমতাবলে।
বাজেট ঘোষণার দিন ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটও সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে জাতীয় সংসদ ভবনে বসবে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক। প্রতিবছরই বাজেট পেশ করার আগে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক হয়ে আসছে।
আগামী অর্থবছরের বাজেটটি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের তৃতীয় বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের ত্রয়োদশ বাজেট। চলতি অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার বাজেট ঘোষণা হয়েছিল ১১ জুন। এরপর মাত্র ৯ দিনের বাজেট আলোচনা ছিল, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সংক্ষিপ্ততম অধিবেশন।
২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম বাজেটের সময় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় মুস্তফা কামাল সংসদে ভালোভাবে বাজেট পেশ করতে পারেননি। তাঁর পক্ষে বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিতীয়বার ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেট উপস্থাপনের সময় দেশে পুরোদমে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। তৃতীয়বার, অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরেও করোনার প্রকোপ সামনে রেখেই বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
এবারের বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে সব মন্ত্রী, সাংসদ ও সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনা পরীক্ষা করানো হবে। সরকারের এমন নির্দেশনাও আসতে পারে যে বেশি বয়স্কদের চেয়ে কম বয়সী সাংসদেরা যেন বাজেট অধিবেশনে যোগ দেন। সংসদ অধিবেশন চলাকালে এবার দর্শনার্থী প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
বাজেটকে আরও অংশগ্রহণমূলক করতে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে মতামত নেবে সরকার। দেশের পাশাপাশি বিদেশে থেকেও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত ও সুপারিশ দেওয়া যাবে। এসব মতামত ও সুপারিশ বাজেট পাসের আগে বিবেচনা করা হবে।