বুধবার (১২ মে) শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ার পথে শাহ পরান ও এনায়েতপুরী নামের দুইটি ফেরিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে শাহ পরানে একজন ও এনায়েতপুরীতে পাঁচজন মারা যান।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে তিন নম্বর ফেরিঘাটে শাহ পরান নামের রোরো ফেরিটি ভিড়লে নামার সময় যাত্রীদের চাপে আনছার মাদবর নামের এক কিশোর যাত্রীদের চাপে অসুস্থ হয়ে ফেরির পন্টুনেই মারা যায়। তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কালিকা প্রসাদ গ্রামে।
অন্যদিকে এনায়েতপুরী ফেরি দুপুর দেড়টার দিকে বাংলাবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফেরি ছাড়ার সময় পন্টুনে কিছু যাত্রী দাঁড়ানো ছিলেন। পন্টুন উঠানোর সময় এটি খাড়া হয়ে গেলে তারা অন্য যাত্রীদের মধ্যে পড়ে যান। এসময় হুড়োহুড়ি ও গরমে তারা মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফেরিটি বাংলাবাজারে পৌঁছালে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে এই পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান ওসি মিরাজ হোসেন।