শনিবার এক ঘোষণায় এই আদেশ জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। সরকারি আদেশ অনুযায়ী ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত জরুরি ও অতিপ্রয়োজনীয় সেবাদানকারী সংস্থার কার্যালয়গুলো ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব দফতর বন্ধ থাকবে।
খাবার, খাদ্যসামগ্রী ও অতিপ্রয়োজনীয় সেবা প্রদানকারী দোকানগুলো ছাড়া অন্যান্য দোকান গুলো বন্ধ থাকবে। খাদ্যসামগ্রি বিক্রি করা দোকানগুলোর মধ্যে শাকসবজি, মুদি দোকান, দুধ ও মাছ-মাংসের দোকানগুলো খোলা রাখা যাবে সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত।
লকডাউন চলাকালে পশ্চিমবঙ্গে গণপরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে, তবে জরুরি সেবার আওতাভূক্ত যানবাহনগুলো এর আওতামুক্ত থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলার চা বাগানগুলো তাদের কর্মরত মোট জনশক্তির অর্ধেক নিয়ে কাজ চালাবেন।
আগামী ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় শিক্ষা, প্রশাসন ও ধর্ম সংক্রান্ত যাবতীয় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া রাত ৯ টার পর থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে যাবতীয় কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনকালীন মেয়াদে পশ্চিমবঙ্গের ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে বেলা ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত। ই-কমার্স ও হোম ডেলিভারি সেবা লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। অটোমোবাইল রিপেয়ার শপ বা গ্যারেজগুলোকেও লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
রাজ্যের যাবতীয় পার্ক ও উদ্যানগুলো আগামী পনের দিন বন্ধ থাকবে। বিবাহ অনুষ্ঠানগুলোতে ৫০ জনের বেশি অতিথি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পশ্চিমবঙ্গে উর্ধ্বমূখী হয়েছে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যু সংক্রান্ত রেখচিত্র। শুক্রবার সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৮৪৬ জন এবং মারা গেছেন ১৩৬ জন, যা পশ্চিমবঙ্গে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮০২ জন, মারা গেছেন মোট ১২ হাজার ৯৩৩ জন।