ট্রেক হলো পুঁজিবাজারে লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার লেনদেন করবেন।
সম্প্রতি নতুন ট্রেক অনুমোদন সংক্রান্ত চিঠি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
তথ্য মতে, শেয়ারবাজারের পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে নতুন ট্রেক বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেয় অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃতত্বাধীন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন ট্রেক ইস্যুর বিষয়ে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কমিশন। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৯৯০তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় সংশ্লিষ্ট বিধিমালা পরিপালন ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন ট্রেক অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। এরপর ডিএসইর ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নতুন ট্রেকের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রথম দফায় নতুন ট্রেকের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার মেয়াদ ১৮ মার্চ পর্যন্ত রাখা হয়। তবে ওই সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত সাড়া না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবেদন গ্রহণের মেয়াদ ২৮ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ সময়ে মোট ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের ট্রেক সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য আবেদন করে। যাচাই-বাচাই শেষে প্রথম ধাপে বিভিন্ন কারণে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন বাতিল হয়। ফলে ট্রেক সার্টিফিকেট প্রদানের যোগ্য এমন ৫১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা বিএসইসিতে পাঠায় ডিএসই। পরবর্তীতে বিএসইসির নির্দেশে আরো ৩টি প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকায় যুক্ত করে ডিএসই। সব মিলিয়ে ডিএসইর প্রস্তাবিত ট্রেকের আবেদনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৬টি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ অর্থসংবাদ’কে বলেন, ‘ডিএসইর প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রাথমিক অবস্থায় ৩০টিকে ট্রেকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাজারে লেনদেন বৃদ্ধি পাবে। নতুন ট্রেক যারা পেয়েছেন সবাই নিজস্ব ওএমএস সিস্টেম ব্যবহার করবে। ফলে ডিএসইর ওয়েবসাইটে লোড কম হবে কিন্তু লেনদেন বাড়বে। এছাড়াও ২টা বিদেশি প্রতিষ্ঠান ট্রেকের জন্য আবেদন করেছে, একটি দুবাই থেকে এবং আরেকটা শ্রীলঙ্কা থেকে। তারা আমাদের দেশের নিয়ম কানুন সব না জানার ফলে কিছু কাগজ পত্রের গ্যাপ আছে। তাই তদেরকে ২ মাস সময় দেওয়া হয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠান আসলে আমাদের বাজারের জন্য ভালো। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কিছু কাগজপত্রের গ্যাপ রয়েছে যার কারণে আবেদন বাতিল করা হয়েছে। আর কয়েকটি কিছু বিষয় আরও অধিকতর যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদন দেওয়া হবে।
নতুন ট্রেক অনুমোদন পাওয়া ৩০টি প্রতিষ্ঠান হলো- কবির সিকিউরিটিজ, মোনার্ক হোল্ডিংস, সোহেল সিকিউরিটিজ, আরএকে ক্যাপিটাল, যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিস, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ কোম্পানি, সাউথ এশিয়া সিকিউরিটজ, ট্রিস্টার সিকিউরিটিজ, ৩ আই সিকিউরিটিজ, সোনালী সিকিউরিটিজ, কেডিএস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, আল হারমাইন সিকিউরিটিজ, মির সিকিউরিটিজ, টিকে শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এসবিএসি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, আমায়া সিকিউরিটিজ, প্রুডেন্সিয়াল ক্যাপিটাল, তাকাফুল ইসলামী সিকিউরিটিজ, বিএনবি সিকিউরিটিজ, অগ্রনী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটিজ, মাহিদ সিকিউরিটজ, বারাকা সিকিউরিটিজ, এএনসি সিকিউরিটিজ, এসএফআইএল সিকিউরিটিজ, তাসিয়া সিকিউরিটিজ, ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ, ক্লিসটাল সিকিউরিটিজ ও ট্রেড এক্স সিকিউরিটিজ।
ট্রেক অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ২৪টি প্রতিষ্ঠান হলো- আমার সিকিউরিটজ, ব্যাঙ্গ জিন (বিজে) জিও টেক্সটাইল, উইংস ফিন, মিনহার সিকিউরিটজ, বিপ্লব হোল্ডিংস, অ্যাসোসিয়েট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, বি রিচ, ফারইস্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, কলম্বিয়া শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, রাহমান ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট, ট্রাস্ট রিজোনাল ইক্যুইটি, এনসি সিকিউরিটিজ, এমকেএম সিকিউরিটিজ, এইচএসবি সিকিউরিটিজ, স্মার্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, ইনোভা সিকিউরিটিজ, বিএনবি সিকিউরিটিজ, বিনিময় সিকিউরিটিজ, রিলিফ এক্সচেঞ্জ, ইম্পেরোর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট, মিরপুর সিকিউরিটিজ, ডিপি৭, এনওয়াই ট্রেডিং, বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ।
ট্রেক আবেদন বাতিল হওয়া ১২টি প্রতিষ্ঠান হলো- অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, টিএ মার্চেন্টডাইজিং, ফারিহা নিট টেক্স, ম্যাটরিক্স সিকিউরিটিজ, এসএমই ইনফরমেটিকস, বাংলাদেশ এসএমই কর্পোরেশন, বেসিক ব্যাংক সিকিউরিটিজ, গিবসন সিকিউরিটিজ, সিভিসি ফাইন্যান্স, এসকিউ ওয়্যার অ্যান্ড কেবল কোং, ইসলামিক ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট ও জাপান সোলারটেক (বাংলাদেশ)।