তার আগে ২ জুন বিকেল ৫টায় অধিবেশন শুরু হবে। পরদিন অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব উপস্থাপন করলে শুরু হবে তার ওপর আলোচনা। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ১১ মে এবারের বাজেট অধিবেশন আহ্বান করেন।
বাজেট অধিবেশন সাধারণত দীর্ঘ হলেও করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের মতো এবারও বাজেট অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হবে।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন চালাতে হবে। ফলে সম্পূরক বাজেট এবং আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা সংক্ষেপ করে আনতে হবে। সব মিলিয়ে ১৩-১৪ কার্যদিবস চলতে পারে অধিবেশন।
অধিবেশনের শুরুর দিন প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন খসরু এবং আসলামুল হকের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব তোলার পর তার ওপর আলোচনা হবে। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশন মুলতবি হবে।
পরদিন বিকেল ৩টায় সংসদের বৈঠক বসতে পারে। সেদিনই বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। এরপর দুদিন বিরতি দিয়ে আবার বসতে পারে অধিবেশন। তবে বাকি সময় অধিবেশন সকালে নাকি বিকেলে হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
প্রস্তাবিত বাজেট ৩০ জুনের মধ্যে পাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ৩০ জুনের আগে পাস করার রেকর্ড সাধারণত নেই। এবারের অধিবেশনও মাঝে বিরতি দিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত চলতে পারে।
বাজেট উপস্থানের আগে একই দিনে জাতীয় সংসদ ভবনে বসবে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক। প্রতিবছরই বাজেট পেশ করার আগে মন্ত্রিসভার বিশেষ এই বৈঠক হয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অর্থবিল যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। অর্থবিল সংসদে তোলার আগে রাষ্ট্রপতির সই নিতে হয়। সাধারণত বাজেট পেশের আগে রাষ্ট্রপতি সংসদেই অবস্থান করেন।
আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট হবে অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের তৃতীয় বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের ত্রয়োদশ বাজেট।
জাতীয় সংসদে সরকারি দলের হুইপ ইকবালুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেন, মহামারিকালে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের অধিবেশনগুলো চালানো হয়েছে, বাজেট অধিবেশনও সেভাবে চলবে। মাননীয় সংসদ সদস্যরা করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়ে অধিবেশনে যোগ দেবেন। অধিবেশনের মাঝখানে কিছু দিন বিরতি থাকতে পারে। ৩ জুন অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশ করার কথা রয়েছে।
অধিবেশন কত দিন চলতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। আমাদের ধারণা ১৩-১৪ দিন চলতে পারে।
গত বছর বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছিল ১০ জুন। সংক্ষিপ্ত ওই অধিবেশনে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।