এক টুইটে জো বাইডেন বলেন, আমার বিশ্বাস ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি নাগরিকদের সমান নিরাপত্তা পাওয়ার যোগ্য। সেইসঙ্গে তাদের সমান স্বাধীনতা, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রেই অধিকারও আছে। আমার প্রশাসন সেই লক্ষ্যে নিরবে কাজ করে চলেছে।
অন্য এক টুইটে প্রেসিডেন্ট বলেন, সহিংসতার ফলে শিশুসহ অনেক বেসামরিক নাগরিকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। তাদের সকলের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি যারা তাদের প্রিয়জন হারিয়েছেন এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।
এর আগে, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিশরের প্রস্তাবে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত। এই যুদ্ধবিরতি হবে পারিস্পরিক ও নিঃশর্ত ।
যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের উপর ক্রমশ চাপ বাড়ছিল। এছাড়া জো বাইডেন যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বেশ কয়েকবার ফোনও করেছেন।
যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ইসরায়েল সামরিক অভিযান বন্ধ করে যুদ্ধবিরতিতে রাজি বলে মিসরকে জানায়। রাতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। যুদ্ধবিরতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে। অর্থাৎ আজ শুক্রবার থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
গত ১১ দিনে ইসরায়েলের বিমান হামলা ও হামাসের রকেট হামলায় অন্তত ৬৫ শিশু, ৩৬ নারীসহ ২৩২ জনের প্রাণ গেছে। হামাস অবশ্য তার যোদ্ধাদের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। আর ইসরাইলে ২ শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে।