শনিবার (২২ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন মন্ত্রী।
২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি জোট যে দানবীয় অত্যাচার চালিয়েছিল তা দেশের মানুষ এখনও ভুলে যায়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে হত্যা, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারক ও বাহক বিএনপি। তারা এখনো সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
আন্দোলনের সক্ষমতা হারানো বিএনপি নামক একটি দল এখন উসকানিদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগে তারা শিক্ষার্থীদের সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদ দিয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথে একটি মিছিল করার সামর্থ্য হারানো দলটি অন্ধকার গলিপথ আর ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নই এখন কুট কৌশল হিসেবে নিয়েছে।
অন্যের আন্দোলনে ভর করে বিএনপি এগিয়ে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিথ্যাচার আর পরাশ্রয়ী রাজনীতি বিএনপির মেরুদণ্ডহীনতাই প্রমাণ।
মৎস্যজীবী লীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে কাদের বলেন, দল করলে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।
সংগঠনের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ার করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
মৎস্যজীবী লীগে মৎস্যজীবীদের প্রধান্য দিতে হবে, যাদের মৎস্যজীবীর সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দীন ফরাজী, এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার এবং মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর।