তিনি বলেছেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সব সরকারি সংস্থা এবং নাগরিককে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। দেশের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য, বাস্তুতন্ত্র এবং বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি পুনরুদ্ধার করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
শনিবার (২২ মে) অনলাইনে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও অন্যান্য সংকটাপন্ন বাস্তুসংস্থান সংক্রান্ত পরামর্শমূলক কর্মশালায়’ যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, জাতিসংঘ ২০২১ থেকে ২০৩০ সালকে বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দশক হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিপর্যয় ও মহামারি রোধে প্রকৃতির প্রতি অবিচার বন্ধ করার এখনই সময়। আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবসের এবারের স্লোগান (উই আর পার্ট অফ সলিউশন ফর নেচার) মানব সভ্যতা ধ্বংস বন্ধের লক্ষ্যে বাস্তুসংস্থানের পুনরুদ্ধারে কাজ করার বার্তা প্রদান করে।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত জাতীয় কমিটি হালদা নদীকে জীববৈচিত্র্য ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশের মোট স্থল ও অভ্যন্তরীণ জলভাগের পাঁচ শতাংশেরও বেশি সংরক্ষিত অঞ্চল এবং পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের প্রায় পাঁচ শতাংশ এলাকা সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। বেঙ্গল টাইগার, বাটাগুর বাসকা, লোনাপানির কুমির, শকুন, ঘড়িয়াল এবং গাঙ্গেয় ডলফিনের প্রজাতি সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের মূল্যবান কৃষি-জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য জিন ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত জাতিসংঘের কনভেনশনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন-২০১৭ প্রণয়ন করেছে। জাতীয় জীববৈচিত্র্য স্ট্র্যাটেজি এবং অ্যাকশন প্ল্যান (কর্ম পরিকল্পনা) ২০১৬-২০২১ গ্রহণ করা হয়েছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্যে এসডিজি ১২, ১৪ এবং ১৫ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে এসডিজি অ্যাকশন প্লান বাস্তবায়ন করছে। সরকার বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
কর্মশালায় আরও যুক্ত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) মো. মনিরুজ্জামান, প্রধান বন সংরক্ষক মো.০ আমির হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।