এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে ১০ লাখ ক্রেতার ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া তথ্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকায় (১০ বিটকয়েন) বিক্রি করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রাজশেখর রাজাড়িয়া বলেন, ‘ডার্কওয়েবে সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করে হ্যাকাররা এসব তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। ডোমিনোজ থেকে অনলাইনে যারাই অর্ডার করছেন তাদের তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বেশি।’
হ্যাকারদের হাতিয়ে নেওয়া এসব ব্যক্তিগত তথ্যের মধ্যে রয়েছে নাম, ই-মেইল, মোবাইল নাম্বার, জিপিএস লোকেশন। অর্থাৎ হ্যাকাররা ডোমিনোজের গ্রাহকদের চলাফেরা ও গতিবিধি সম্পর্কে সহজেই জেনে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
রাজশেখর রাজাড়িয়া বলেন,‘চলতি বছরের ৫ মার্চ ডোমিনোজের গ্রাহকদের তথ্য ফাঁসের ব্যাপারে তিনি ভারতের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাকে সতর্ক করে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডোমিনোজের প্রায় ২০ কোটি অর্ডার সম্পর্কিত তথ্যসহ গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কবজায় নিয়েছে হ্যাকারদের একটি দল।’ যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ডোমিনোজ কোনো কিছু বলেনি।
উল্লেখ্য, গত মাসেও ডোমিনোজের গ্রাহকদের তথ্য ফাঁস হয়েছিল। একইভাবে ৪ এপ্রিল ফেসবুকের প্রায় ৫৪ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্যও ফাঁস হয়। এ অবস্থায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অস্বস্তিতে রয়েছে।