গত ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরের প্রয়োজন মেটাতে বাড়তি ১ দশমিক ৫৮ ট্রিলিয়ন রুপি কিংবা প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার অর্থ ঋণ নেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এছাড়া বিষয়টি আরো আলোচনার জন্য পণ্য ও সেবা কর সম্পর্কিত বিভিন্ন রাজ্যের কর্মকর্তারা ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সম্পর্কে একটি বৈঠক করবেন। সেখানে অবশ্য অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে।
দেশব্যাপী পণ্য ও সেবা কম বা জিএসটি প্রবর্তনের কারণে রাজ্যগুলোয় যে রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে এ ভর্তুকি দিতে রাজি হয়েছে সরকার। কিন্তু বিশ্বজুড়ে চলমান কভিড-১৯ মহামারীর কারণে শুল্ক আদায়ে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যার কারণে রাজ্যগুলো বাড়তি অর্থের জন্য প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
যে বাড়তি অর্থ ঋণ নেয়া হবে, তা চলতি অর্থবছরের ঘাটতি পূরণেই ব্যয় হয়ে যাবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত অর্থবছরে দিল্লি যে ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন রুপি ঋণ নিয়েছিল, তা রাজ্যগুলোর ঋণ পরিশোধেই ব্যয় হয়ে গেছে। ফলে বাড়তি আরো কত ঋণ প্রয়োজন হবে বা পরিশোধের জন্য কতদিন সময় পাওয়া যাবে, সে বিষয়গুলোর জন্য রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এ ঋণ পরিশোধে পাঁচ বছর সময় দেয়া হয়েছিল। তবে গত বছর পরিশোধের সময় বাড়িয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত করে দেয় কেন্দ্র সরকার। যাতে কভিড-১৯ মহামারীর কারণে রাজ্যগুলোর যে ক্ষতি হয়েছে, তার কিছুটা কাটিয়ে ওঠা যায়। ভারত হলো এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। গত বছর দেশটি যে মন্দার মুখে পড়েছিল, তা থেকে উত্তরণে সব রকমের চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।