জানা গেছে, ইভ্যালি পুরোপুরি অধিগ্রহণ করে নিলেও ফ্লাইট এক্সপার্ট-কে স্বতন্ত্রভাবে পরিচালনা করা হবে। ফ্লাইট এক্সপার্ট-এর পূর্বের পরিচালনা পরিষদের সবাই বর্তমান পরিষদে আছেন, সাথে জনবল নিয়োগের মাধ্যমে এর ব্যাপ্তিও আরো বাড়বে বলেই আশা করা যাচ্ছে । ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই বছরের মধ্যে ৫০ লক্ষাধিক গ্রাহক এবং ২০ হাজারের বেশি বৃহৎ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেন।
এদিকে ফ্লাইট এক্সপার্ট এরই মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে পুরো পৃথিবী জুড়ে। দেশে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অফিসে অর্ধশতাধিক কর্মী রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ৫ শতাধিক এয়ারলাইন্স এবং সাড়ে ৯ লাখ হোটেল-রিজোর্ট যুক্ত আছে তাদের সাথে। তৃতীয় পক্ষের নিরূপণে ফ্লাইট এক্সপার্ট-এর অর্থমূল্য দাঁড়িয়েছিল ৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
এছাড়া অনলাইন ব্যবসা খাতে নতুন নতুন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আসছে ইভ্যালি। ই-ফুডের পর ই-জবস ও ই-হেলথ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা।
এশিয়া ওয়ান ম্যাগাজিন ২০২০ সালে বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মাননা দেয় ইভ্যালিকে। করোনাকালীন সময়ে অনবদ্য অবদানের জন্য ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব ইভ্যালিকে ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড-এ ভূষিত করে। এছাড়াও, ই-ক্যাব হতে দেশের সেরা ই-কমার্সের সম্মাননা পেয়েছে দেশীয় এ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি।
ইতিমধ্যে ইভ্যালি বিভিন্ন খাতে বেশ গতিশীল এবং নতুন মাত্রার কাজ করে চলেছে। ফ্লাইট এক্সপার্ট-এর মাধ্যমে ট্র্যাভেল খাতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে ভবিষ্যতে আরো নানাদিকে পরিবর্তন-পরিবর্ধনের আশা রাখে ইভ্যালি।