তাল মিছরি প্রাকৃতিক গুণাগুণসমৃদ্ধ হওয়ায় এর ভেতর থাকা চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। এতে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, ফসফরাস থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৬ ও বি-১২ থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মিছরি কেন উপকারী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যেমন আদা, গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, মধু, লেবু খেতে হবে, ঠিক তেমনই তাল মিছরিও খাওয়া উপকারী। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে, তাদের নিয়মিত মিছরি খাওয়া উচিত-
১. হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে মিছরি খেলে সর্দি-কাশি ও গলায় জমে থাকা কফ, শ্লেষ্মা দূর হয়। বেশিমাত্রায় কাশি হলে মুখে এক টুকরা মিছরি রাখলে অথবা তুলসি পাতার রসের সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
২. বয়সের কারণে অনেকের হাড়ের ক্ষয় হয়। একই সঙ্গে হাঁটুর ব্যথাও বাড়ে। এ অবস্থায় মিছরির শরবত খেলে হাড়ের ক্ষয় এবং হাঁটু, জয়েন্ট ও বাতের ব্যথা ভালো হয়ে যায়। কারণ এতে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে।
৩. রক্তশূন্যতার সমস্যায় যারা ভোগেন তারা মিছরির শরবত খেতে পারেন। কারণ এতে প্রচুর আয়রন রয়েছে। শরীরে যা নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
৪. মিছরি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৫. মিছরিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা ৩৫। যা রক্তে সুগারের মাত্রা পরিমিত রাখতে সহায়তা করে। ডায়েবেটিস রোগীদের সুগার স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রতিদিন মিছরি খাওয়া উচিত।
৬. যেসব মায়েরা শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছেন, সেসব মা কালোজিরা ও মিছরি গুঁড়া করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। কারণ এতে মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৭. শিশুকে চিনির বদলে দুধ বা সুজির সঙ্গে মিছরি খাওয়ানো ভালো। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। অন্যদিকে চিনি তৈরি হয় আখের রস দিয়ে। চিনির সুক্রোজে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ সমপরিমাণ থাকে এবং একে ধবধবে সাদা করার জন্য যে মাত্রায় পরিশোধন করা হয় তাদের চিনির প্রাকৃতিক গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং অতিরিক্ত চিনি খেলে লিভারের রোগ হয়, ওজন বেড়ে যায় এবং ডায়েবেটিস হয়।