মঙ্গলবার (১ জুন) আসন্ন বাজেট নিয়ে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, নূন্যতম ২০ শতাংশ শেয়ার IPO- এর মাধ্যমে হস্তান্তর করলে আয়কর রেয়াত লাভের বিদ্যমান সু্যোগ শর্ত সাপেক্ষে নিন্মোক্তভাবে তিন বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে:
করবছর করহার শর্ত
তালিকা ভুক্তির বছর ১০ শতাংশ কর রেয়াতের বছর সমূহে “A” category বজায় রাখতে হবে
২য় ও ৩য় বছর ৫ শতাংশ
কোম্পানীসমূহ অনেক বিধি বিধান পরিপালন করে তালিকাভূক্ত হয়। কর রেয়াতের কারণে অতালিকাভূক্ত কোম্পানিসমূহ তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। এতে পুঁজিবাজারে গুণগত মানসম্পন্ন শেয়ারের যোগান বাড়বে যা বাজারে লেনদেন বৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা আনয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। যা জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদানকে আরো বৃদ্ধি করবে।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে SME কোম্পানীসমূহের জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ার বছর থেকে ৫ বছরের জন্যে ১০% হারে কর নির্ধারণ করা যেতে পারে। সাধারণত স্বম্পমূলধনী কোম্পানী সমূহ প্রাইভেট লিমিটেড হিসেবে নিবন্ধিত হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট কাঠামো দুর্বল হওয়াতে সরকারের তেমন কোন রাজস্ব আদায় হয় না। পুঁজিবাজারের SME বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী তালিকাভুক্ত হলে অধিক সংখ্যক কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা থেকে ২,০০,০০০ টাকাতে নির্ধারণ করা যেতে পারে। বর্তমানে শুধুমাত্র জিরো কূপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয় ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাতিরেকে করমুক্ত। দেশের অর্থনীতির আকার এবং ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতার প্রেক্ষিতে একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট তৈরি করা অতি জরুরী। এই পদক্ষেপ পুঁজি বাজারের পাশাপাশি আর্থিক খাতেও শৃঙ্খলা আনয়ন করতে পারে। সে কারণে নতুন ভাবে একটি বন্ড মার্কেট তৈরি করার লক্ষ্যে সকল প্রকার বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয় কে কর মুক্ত করা প্রয়োজন এবং জিরো কূপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয়ের করমুক্ত সুবিধা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহ সকল করদাতাকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।