মঙ্গলবার (০১ জুন) একনেক সভায় ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী এটি বাতিল করেন।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আজ সভায় একটি প্রকল্প অনুমোদন পায়নি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পটি ভালোবাসেন, স্নেহ করেন। কিন্তু প্রকল্পটির স্ট্রাকচার নিয়ে তার সংশয় ছিল। এজন্য তিনি নির্দেশনা দিয়ে প্রকল্পটি ফেরত পাঠিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, স্কুলে খাবার দেওয়া প্রকল্পটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। আমরাও চাই সকল শিক্ষার্থী স্কুলে খাবার পাক। তবে এই প্রকল্পের স্ট্রাকচার পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ নতুনভাবে প্রস্তাব করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহে ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ একনেক সভায় ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ নামক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু প্রকল্পটি অনুমোদন না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশের ৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলা এবং ২১টি শিক্ষা থানায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য ছিল। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী সব শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় এনে তাদের শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখার লক্ষে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল।
তবে এ প্রকল্প গ্রহণের শুরুতেই খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশন শিখতে বিদেশ যাওয়ার আবদার করে বসেন মন্ত্রণালয়ের এক হাজার কর্মকর্তা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের আওতায় এসব কর্মকর্তারা বিদেশ সফর করবেন বলে তখন জানানো হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনার পর খিচুড়ি রান্না শিখতে কর্মকর্তাদের বিদেশ যাওয়া বাদ দেওয়া হয়। সবশেষ মূল প্রকল্পই বাতিল করে নতুনভাবে উপস্থাপনের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।