সম্প্রতি ইভ্যালি এবং বাংলাদেশে স্যামসাং পণ্যের উৎপাদক ও পরিবেশক ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য গ্রাহকদের কাছে সুলভ মূল্যে পৌঁছে দিতে কাজ করে ইভ্যালি ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স। এর ফলে স্যামসাং পণ্যে গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় মূল্যছাড়ে পণ্য বিক্রির ঘোষণা দেয় ইভ্যালি।
এ বিষয়ে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল বলেন, বিশ্বব্যপী করোনাকালীন এই সময়ে মানুষের কাছে যখন ঘরের বাহিরে বের হয়ে তার পছন্দের পণ্যটি কেনা কষ্টকর হয়ে পরে তখন তারা খুব সহজেই ঘরে বসে তার প্রয়োজনীয় পণ্যটি ইভ্যালিতে অর্ডার করে সংগ্রহ করতে পেরেছে। গত পাঁচ মাসে ইভ্যালি ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স মিলে অন্তত এক লাখ ইউনিট পণ্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স ও ইভ্যালি একত্রে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছাতে চায় উল্লেখ করে ফেয়ার গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) মোহাম্মদ মেসবাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে স্যামসাং মোবাইল এবং ইলেকট্রনিক্স এর গর্বিত উৎপাদক ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স। বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য সবাই যেভাবে নিজেদের করে নিয়েছেন আমরা তার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। গত পাঁচ মাসে আমরা ইভ্যালির মাধ্যমে গ্রাহকদের ঘরে একলক্ষ ইউনিট স্যামসাং পণ্য পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি ।
অন্যদিকে ফেয়ার গ্রুপের চীফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) কাজী নাসির উদ্দীন বলেন, ইভ্যালির মাধ্যমে স্যামসাং পণ্যের আরও অর্ডার পাচ্ছি আমরা। সেগুলোও ধাপে ধাপে প্রতিদিন আমরা সরবরাহ করছি। গ্রাহক সন্তুষ্টির কথা বিবেচনা করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেলিভারি সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ইভ্যালি ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা এই যে, একসময় দেশের প্রতিটি ঘরে ইভ্যালির মাধ্যমে স্যামসাং এর পণ্য পৌঁছে দেবে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স।
এ বিষয়ে ফেয়ার গ্রুপ এর পরিচালক (অপারেশন) ফিরোজ মোহাম্মদ বলেন , ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে সরকারের পাশাপাশি আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনে স্যামসাং প্রযুক্তির মাধ্যমে অংশ নিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
উল্লেখ্য, এর আগে ও দেশের এক লাখ পরিবারের স্যামসাং পণ্য পৌঁছে দেয় ইভ্যালি ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স।