বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে বাজেট অধিবেশন থেকে বের হয়ে জাতীয় সংসদের টানেলে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে নামমাত্র বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। সামাজিক বেষ্টনীখাতে যা দেয়া হয়েছে তা বাজেটের তুলনায় অত্যন্ত কম। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে অনেক কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধারণার বশবর্তী হয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট তৈরি করেছেন। এই বাজেট এতটাই পরিবর্তন করতে হবে যে, তাতে প্রণীত বাজেটের প্রকৃত রূপ থাকবে না। বাজেটে খরচ বাড়িয়েছেন, বাড়ানো দরকারও আছে। কিন্তু অর্থ আহরণের বিষয়ে তারা হোঁচট খেয়েছেন। গত বাজেটের লক্ষ্য অনুযায়ী ৬০ ভাগও রাজস্ব আদায় করতে পারেনি দশ মাসে। এবার যেটা প্রাক্কলন করেছেন তাতেও যথেষ্ট পরিমাণে ঘাটতি রয়েছে। জিডিপির ৬ দশমিক ২ ভাগ ঘাটতির বাজেট এর আগে আর হয়নি। ঘাটতির এই বাজেটে যত সুন্দরভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে, তা ডিটেইলে দেখা গেছে অনেক কিছুই ফাঁক আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা করোনাকালে কর্মহীন হয়েছে এবং দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছেন, তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা তাদের জন্য আর্থিক সহায়তার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই এই বাজেটে। স্বাস্থ্যখাতের জন্য সাধারণ মানুষের বিপুল আকাঙ্ক্ষা ছিল, এবার স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরনের একটা বরাদ্দ হবে এমন আশা ছিল সাধারণ মানুষের। কিন্তু বাজেটে অত্যন্ত সামান্য বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। এটা সাধারণভাবে বলা যায় রুটিনবৃদ্ধি, কোনো ক্রাইসিসের জন্য এই বৃদ্ধি সামান্য এবং অপ্রতুল।’
এ সময় জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বাজেটের ঘাটতি পূরণে বিদেশি ঋণ, স্বল্পসুদে ঋণ এবং বিভিন্ন খাত থেকে অর্থপ্রাপ্তির যে কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। আগামীদিনে অর্থনৈতিক যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তাতে এটা আদৌ অর্জন করা সম্ভব হবে কি-না তা বলা যাচ্ছে না। তাই রাজস্ব প্রাপ্তিতে যেমন বিশাল সমস্যা হতে পারে, তেমনিভাবে বাজেট অনুযায়ী অর্থায়নেও সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া যেসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে তা মুখে বলেছেন কিন্তু কাগজে মোটেই নেই।’