ওষুধটি অনুমোদনের ঘোষণা দিয়ে দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দফতর থেকে জানানো হয়, অ্যাডুকেনুম্যাব মানব মস্তিষ্কে আলঝেইমার সৃষ্টিকারী এক ধরনের প্রোটিন হ্রাস করতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবদেহে অ্যাডুকেনুম্যাবের তিন দফা পরীক্ষা চালানো হয়। ২০১৯ সালে সবশেষ ধাপের আন্তর্জাতিক ট্রায়ালে প্রায় তিন হাজার মৃদু উপসর্গের রোগী এতে অংশ নেন। ওষুধটি আলঝেইমারের উপসর্গের চেয়ে সাধারণ রূপ স্মৃতিভ্রমের অন্তর্নিহিত কারণকে টার্গেট করে মানব শরীরে কাজ করে থাকে।
যুক্তরাজ্যে আলঝেইমারের মৃদু উপসর্গের রোগী আছেন প্রায় ১০ হাজার। ওষুধটি ব্রিটেনে অনুমোদন পেলে আলঝেইমারের চিকিৎসায় ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে অ্যাডুকেনুম্যাব নামের ওষুধটির কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এটি আলঝেইমার রোগে কাজ না করায় ২০১৯ সালের মার্চে ট্রায়াল স্থগিত করে এফডিএ। এছাড়া ওষুধটি মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধের চেয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করায় অনেক চিকিৎসাবিজ্ঞানী এটির তীব্র সমালোচনা করেন।
তবে বায়োজেনের দাবি- ওষুধের মান উন্নয়নের পাশাপাশি দীর্ঘ পরীক্ষা শেষেই অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।
দীর্ঘ বিতর্কের পর অবশেষে আলঝেইমার রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধটির অনুমোদন দেয়া হলো। আন্তর্জাতিক মেডিকেল দাতব্য সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ ওষুধটির অনুমোদনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। সূত্র: বিবিসি।