পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২০ সালে ৩০ টি সাধারণ বীমা কোম্পানির মধ্যে ৮৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানগুলো ১৫ শতাংশ কমিশন সংক্রান্ত সার্কুলার মেনে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ অর্থসংবাদকে বলেন, আমি জানিনা বীমা কোম্পানিগুলো কিভাবে এই মুনাফা করেছে। তবে দেখা যাক পরবর্তী প্রান্তিকে এর ধারাবাহিকতা থাকে কিনা।
গত বছর সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ১৮ শতাংশ লেনদেনের অবদান রেখেছিল এবং বিনিয়োগকারীরা এই খাত থেকে ৯৭ দশমিক ৫০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছিল।
দেখা গেছে, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ৩২২ শতাংশ বেশি লাভ করেছে। কোম্পানিটি বলছে, প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধি, সুদ এবং বিনিয়োগের আয়ের কারণে এর নিট মুনাফা বেড়েছে। ২০২০ সালে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের মোট প্রিমিয়াম আয় ছিল ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যা ২০১৫-এর তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি। এছাড়াও, দায়বদ্ধ মুনাফা, সুদ এবং বিনিয়োগের আয় যথাক্রমে ২৪৫ শতাংশ এবং ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়াও প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের নিট মুনাফা ২০২০ সালে ৫৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যা আগের বছর ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ছিল। এর মোট প্রিমিয়াম আয় ছিল ৭৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং নিট প্রিমিয়াম আয় ছিল ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
এদিকে জানা গেছে, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স গত পাঁচ বছরের তাদের সর্বোচ্চ লাভ হয়েছে। কোম্পানিটি ১২২ শতাংশ মুনাফা অর্জন করেছে।এ লাভ বৃদ্ধির জন্য এজেন্সি ব্যয়ের ৩৪ শতাংশ হ্রাস, বীমা দাবির ৩১ শতাংশ হ্রাস এবং পরিচালনা ব্যয়ের ১৮ শতাংশ হ্রাসের ফলে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বীমা খাতে বর্তমানে ৭৮ টি বীমা কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ টি জীবন বীমা ৪৬ টি সাধারণ বীমা প্রতিষ্ঠান। এসব কোম্পানির মধ্যে ৫০টি পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, অনুপ্রবেশের হারের দিক দিয়ে বাংলাদেশ সর্বাধিক অপরিকল্পিত বীমা বাজারের একটি। সচেতনতা , অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও বীমা পরিষেবার একটি শক্তিশালী সংস্কৃতি এই শিল্পকে বিকশিত হতে সহায়তা করতে পারে।
শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল রিইনসুরার সুইস রে গ্রুপের মতে, বাংলাদেশের সামগ্রিক বীমা অনুপ্রবেশ ১৯৯৯ সালে মাত্র ০ দশমিক ৯৯ শতাংশ ছিল। যা উদীয়মান এশীয় দেশগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন।