মঙ্গলবার (৮ জুন) বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যামটবের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়।
এতে মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা বলেন, প্রতিবছর বাজেটের আগে তাঁরা বিভিন্ন প্রস্তাব দেন। কিন্তু কোনো বছরই তা শোনা হয় না। এখনো বিপুলসংখ্যক মানুষ মুঠোফোন সেবার বাইরে। মাত্র ৪৪ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তাঁদের সেবার আওতায় আনতে পারলে অর্থনীতির গতি আরও বাড়ত।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যামটবের মহাসচিব এস এম ফরহাদ জানান, এবারের বাজেটে তাঁরা অলাভজনক অপারেটরের ওপর ন্যূনতম লেনদেন কর বা টার্নওভার ট্যাক্স তুলে নেওয়া, করপোরেট করহার সহনীয় পর্যায়ে আনা, মোবাইলে টাকা রিচার্জ করে কিছু কেনার ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জ প্রত্যাহার, সিমের ওপর ২০০ টাকা সিমকর তুলে নেওয়া, কথা বলা ও ইন্টারনেটে কর যৌক্তিক পর্যায়ে আনাসহ কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
গ্রামীণফোনের পরিচালক ও হেড অব পাবলিক অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত বলেন, করোনাকালে টেলিযোগাযোগকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। উচ্চহারে কর এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এছাড়া রবি’র চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান, তারা নিজেই যেন একটি গবেষণা পরিচালনা করে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে টেলিযোগাযোগের প্রভাব মূল্যায়ন করে এবং সে অনুযায়ী নীতি নির্ধারণ করে।
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘অপারেটরদের যুক্তিসংগত কয়েকটি দাবি প্রস্তাবিত বাজেটে বিবেচিত না হওয়ায় আমরা আশাহত হয়েছি।’