বুধবার (৯ জুন) সকাল সোয়া ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৭ কোটি ৪৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৫৭০ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ কোটি ৮১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৩৫ জন।
বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তিন কোটি ৪২ লাখ ৪২ হাজার ৮৬৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ১৩ হাজার ৫২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার ৮৬৩ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৯০ লাখ ৮৮ হাজার ১৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৭ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৭৪ লাখ ৯৬ হাজার ১৯৮ জন।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক কোটি ৭০ লাখ ৩৮ হাজার ২৬০ জন। মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৭৭ হাজার ৩০৭ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৫৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭১ জন।
তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, পঞ্চম স্থানে তুরস্ক, ষষ্ঠ স্থানে রাশিয়া, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম ইতালি, নবম আর্জেন্টিনা এবং দশম জার্মানি।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় সম্প্রতি এক ধাপ ওপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩২তম। দেশে এখন পর্যন্ত আট লাখ ১৫ হাজার ২৮২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১২ হাজার ৯১৩ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন সাত লাখ ৫৫ হাজার ৩০২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।