গত সোমবার পার্লামেন্টারি শুনানিতে তিনি বলেন, ‘১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা-সহ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। অর্থাৎ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫ কোটি ৪৩ লাখ মানুষকে টিকা দিতে হবে।’
দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ইতালিতে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে করোনা টিকার উভয় ডোজ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া দেশটি এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৩ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগ করেছে। অর্থাৎ চলতি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দেশটির প্রতি চারজনের মধ্যে একজন বা ২৪ শতাংশ মানুষ কমপক্ষে এক ডোজ করোনা টিকা নিয়েছেন।
অবশ্য মানুষকে করোনা টিকা দু’টি করে ডোজ দেওয়া হবে না কি জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো একটি ডোজের টিকা দেওয়া হবে তা পরিষ্কার করেননি ফ্রান্সিসকো ফিগলিউলো।
তার মতে, ‘সম্পদ, সময় ও মানুষ; আমরা এসবের কোনো কিছুই নষ্ট করবো না। ইতালির হাতে সব কিছু আছে। আমাদের কেবল সমন্বিত ভাবে সবকিছু ব্যবহার করতে জানতে হবে।’
করোনাভাইরাস মহামারিতে ইউরোপের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ইতালির নাম রয়েছে ওপরের দিকেই। যদিও ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মতো সাম্প্রতিক সময়ে এই দেশটিতে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে ইতালিতে এখন পর্যন্ত ৪২ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে মারা গেছেন এক লাখ ২৬ হাজারের বেশি মানুষ।