সম্প্রতি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে সংগঠনের সভাপতি শামস মাহমুদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেনের নিকট ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ডিসিসিআইয়ের বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি ব্যক্তি শ্রেণী করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর সর্বনিম্ন হার ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে হ্রাস করার প্রস্তাব করেন।
এছাড়া সংগঠনটি প্রগেসিভ হারে সকল স্তর থেকে কর্পোরেট করহার আগামী ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে ৫,৭ ও ১০ শতাংশ হারে হ্রাস এবং আগামী বাজেটে কর্পোরেট ডিভিডেন্ডের আয়ের উপর ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর নির্ধারণের প্রস্তাব
শামস মাহমুদ কর পক্রিয়া সহজীকরন ও করের আওতা বৃদ্ধির জন্য সম্পূর্ণ অটোমেটেড অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার ব্যবস্থা করে বলেন, এর ফলে দেশের কর প্রদান ব্যবস্থা সহজ হবে এবং ব্যবসায় পরিবেশ সূচক উন্নয়নে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। একই সাথে তিনি বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে এ বছরের বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানান, যাতে করে সরকার,সাধারণ জনগন এবং বেসরকারিখাত এ অবস্থা উত্তরণে সহায়ক নীতিমালা ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সুফল পেতে পারে।
ডিসিসিআই ১৫ শতাংশ অথবা যে কোন হারে ভ্যাট প্রদানের পর কর রেয়াতের সুযোগ প্রদানের প্রস্তাব করেছে। এছাড়াও সংগঠনটি এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বার্ষিক টার্নওভারের লিমিট ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা নির্ধারণ এবং পণ্যের ভ্যালু এডিশন বা মুনাফা অনুপাতে ৪ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেন। বিদ্যুতের সঞ্চালন ও বিতরণের আওতা এবং মান বৃদ্ধি করতে সঞ্চালন ও বিতরণের বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান এবং বিদ্যুৎ খাতের আমদানি বিকল্প ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পসমূহকে উৎসাহিত করতে বেসরকারি খাতকে সাব-স্টেশন যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ উৎপাদনে কর অবকাশ সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করেন।